Profile Anindya Datta

৩৪৩৫০২ – ৯৮৪৫

এটা আজকের দেশের সর্বশেষ স্কোর। সকালে উঠে, চোখে মুখে জল দেবার আগেই, ফোন খুলে আমরা রোজকার স্কোর দেখি। একটা হাইফেনে বাঁচা মরার ফারাক হয়ে যাচ্ছে। যাক, আজিও প্রভাত হইলো, আমার আত্মা হাইফেনের বামদিকে রইলো। সে আক্রান্ত হই বা এই স্কোরকার্ডের বাইরে আসিমটোমাটিক বা একেবারেই সুস্থ। তারপর হাঁফ ছাড়ি। সাথে, সাথেই  একথাও মনে আঁধার করে আসে, কতদিন আর কতদিন। বলো মা।

অতি সম্প্রতি হুঘোষণা করেছেন যে যাঁদের সিমটমস নেই সেই করোনা আক্রান্তদের কাছ থেকে  রোগ ছড়িয়ে পড়বার ভয় নেই। কারণ, সে ক্ষমতাই তাদের থাকেনা। আহা, জয় হোক যে সাহেব মেমরা একথা বলেছেন তাঁদের, যাঁরা, বেঁচে থাকবেন ওই দেশগুলোতে তাঁর ধনে পুত্রে লকস্মী লাভ হোক। সাব – মেমসাব মাই বাপ,  ওঁনারাই ভয় দেখান, ভয় পাই। আবার ওঁনারাই অভয় দেন, জয় গাই। এখন আনলক-১ চলছে, শুধু ভারতে নয়, গোটা বিশ্বেই। আমেরিকা তার বিভিন্ন প্রদেশে লকডাউন প্রত্যাহার করেছে, এক হপ্তা আগে ইতালির সীমান্ত খুলে গেছে, কাল ফ্রান্স তার দরজা খুলে দিলো। আমরাও পিছিয়ে থাকবো কেন? তাল মিলিয়ে চালু করেছি বিমান-ট্রেন-বাস-ট্রাম- ট্যাক্সি – অটো- ট্রেকার সব, সব। জানুয়ারী থেকে মার্চ মাসের জিডিপি এসেছে ৩%, তবুও কেন্দ্রীয় সরকার তোতাপাখির মতো আউড়ে চলেছে “দেশ এগিয়ে চলেছে, দুনিয়াকে পথ দেখাবে ভারত”, সাহেব – মেম পিঠ চাপড়াচ্ছেন। বাচ্ছেলোগ বাজাও তালি। বড়েলোগ বাজাও থালি। আর ভাবনা নেই,  সিরিয়াল আবার দেখতে পাচ্ছি, সেখানে আবার করোনা সচেতনতা দেখানো হচ্ছে, কোন হতভাগা, লক্ষীছাড়া বলে যে বাংলা সিরিয়ালে শুধু পতি,পত্নী আর ওহ, কিংবা সাস- বহুর ঝগড়া দেখানো হয়। আমরা সচেতন, আমরা প্রস্তুত, আআআমরা নতুন ভারতেরই ভুত( থুড়ি থুড়ি) দূত। তাই, সব যখন ঠিক হয়েই গেছে প্রায়, আসুন তেড়েফুঁড়ে গপ্পো, পদ্য, ফীচার ইত্যাদি লিখি। মানে সবই “প্রায়” আরকি।

সঙ্গে বুক ঠুকে বলি, যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ, প্রাণপণে গল্পক্লাউডে লিখে যান।

নতুন, নতুন লোক লিখুন, নতুন নতুন লোক পড়ুন।

ইতিহাস পাল্টে যাচ্ছে, একটু পা চালিয়ে ভাই।

অনিন্দ্য দত্ত
সম্পাদক, গল্প cloud  

error: Content is protected !!