virus er chithi

এবারে হার স্বীকার করে নাও কনিষ্ঠ।
তোমাকে ভূমিষ্ঠ হতে দেখেছি, যদিও বড় আর বিস্তৃত হয়েছো তারপরে
তবু তোমাদের মহাকাব্যগুলোর মতোই
,

জ্যেষ্ঠের সিংহাসনে অগ্রাধিকার।
হার মেনে নাও ভ্রাতা, এ যুদ্ধে ভিন্ন কোনো ফল নেই আর।

আমাদের দৃষ্টিতে কে বিরাট রাজা আর কে দুর্যোধন,
ভীমসেন ও কীচক সমান শিকার।
ঘরে থেকে যদি ভাবো করেছো সফলভাবে আত্মগোপন,
ভুল হবে তবে। সৈরিন্ধ্রীর রূপ অথবা কঙ্কের জ্ঞানে কিছু তফাৎ গড়ে দেবে, সেটা কিন্তু নয়।
গাণ্ডীব হোক বা বোফোর্স কামান, সব থোতা ভোঁতা করে হবে পরাজয়।

নিজেকে দিয়েই ভাবো। অরণ্য কেটে সাফ করেছো যখন,
প্রতি গাছ কেঁদেছিলো। দিশাহারা ছুটেছিলো নেউল শিয়াল আর খরগোশের দল,
 ডানা না ওঠা শাবকের মায়া ছেড়ে ওড়বার কি কষ্ট প্রবল,
বুঝেছিলে কি তুমি? তোমার তখন চাই চারণের ভূমি,
কোথাও বসাবে গ্রাম, কোথাও নগরী,
সভ্যতার সংক্রমণে সেই সব ক্ষতি মনে আছে আশা করি।

 আমাদের থেকে আরো ভয়াল ঘাতক আছে তোমাদের কাছে।
যত লোক জ্বলে যায় ধর্মের আঁচে, তার সাথে যোগ করো কত হত্যা করো দূষণে দূর্ঘটনায় এবং যুদ্ধে।
তুলনায় আমাদের ভোগ্য তো বিদুরের খুদ হে,
সেটাতেও জাতি ধর্ম ধনী গরীব বুদ্ধিমান বোকাদের তফাৎ করিনা,
কে বড় শত্রু বলো, আমাদের সংক্রমণ  না তোমাদের ঘৃণা?

সুযোগ দিইনি বোলোনা।
তোমাদের পোষ্যের দলে বারবার ছড়িয়েছি সংক্রমণ,
কখনো গবাদি পশু, কখনো শূকর বা রামপাখিতে;
কি ব্যবস্থা করেছো বলো কনিষ্ঠ তখন,
তড়িঘড়ি তাদেরকে হত্যা করেছো নিজেদের বাঁচার তাগিদে।
শুনেছিলে সে হতভাগ্য পশুদের আর্তনাদ বুঝি?
লালন বা খুন করা যেমন সুবিধে,
সেটাই তো ধর্ম তোমার।
কেন তবে আজ ওঠে এত হাহাকার?

হার স্বীকার করে নাও কনিষ্ঠ,
তোমার থেকে চল্লিশ কোটি বছর বড় জ্যেষ্ঠের কাছে।
ভেবে দেখো, তোমাদের অর্থনির্ভর সভ্যতা বাঁচাতে,
কিছু জীবন বিসর্জন ছাড়া ছাড়া উপায় কি আছে?

যে আগুনে পুড়িয়েছো বাকি পৃথিবীকে,
আজ ঝলসাতে হবে সে ভয়ের আঁচে।

error: Content is protected !!