এক সহস্র বসন্ত আগে
আমার বুকের হাড়গুলোকে বহু যত্নে ভেঙে
তুমি দিয়েছিলে
দুটি শ্বেত মোলায়েম মাংসপিন্ড,
বলেছিলে ‘আমার সেরা সৃষ্টি আজ থেকে তোর হলো,
সাবধানে রাখিস’
অবাক হয়েছিলাম আমি, জানতে চেয়েছিলাম
নতুন প্রাপ্তির বিনিময় মূল্য
‘কি নাম তোমার এই সৃষ্টির, কি বা কাজে লাগবে এই বৃন্তদুটি
তুমি হেসেছিলো, বলেছিলো ‘বোকা মেয়ে,
এর নাম স্তন, তোর পদানত
আজি হতে ‘দশ দিক আর সাত সমুদ্র’,
চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত তোর, আর আমার অনন্ত শয্যা’।
তোমার চারিদিকে একটা উজ্জ্বল আলোর ঝলকানি ছিল
তোমার উত্তাপ যেন শুষে নিচ্ছিল
আমার সমস্ত সতেজতা
ঋজু, দৃপ্ত পায়ে তুমি চেপে বসেছিলে
তোমার সাতরঙা সাত ঘোড়া রথে
ভয় পাই নি আমি
শুধিয়েছিলাম ‘বললে না তো ‘আমি কি পাবো?’
থমকে গিয়েছিলে তুমি, থেমে গিয়েছিলে।
ষাট হাজার বালখিল্য
শান্ত স্বরে বলেছিলে
যেদিন তোর গোলাপি বৃন্তে কালচে রং লাগবে
তোর নিতম্বহিল্লোলে পাগল, সাদা, কালো, লাল সব ম্যাকবেথ
তোর সিক্ত যোনীপথে যেদিন অন্তহীন শৃঙ্গারের প্রতীক্ষা
সেই দিন তুই পূর্ণতা পাবি
পাবি বরাভয় মুদ্রা।
তারপর নির্লজ্জের মতো ভোগ করবি সবকিছু
ক্লান্তিহীন সঙ্গম ও প্রসবে
হেলায় পেরোবি মহাকালের সীমান্ত
তুই শূন্য, তুই অনন্ত।
আরো কিছু চাওয়া বাকি ?
এই ছিল তোমার শেষ কথা।
তোমার কথা মন দিয়ে শুনেছি
ফাঁকি দিইনি ‘সঙ্গম ও প্রসব’ মন্ত্রে দীক্ষিত ‘আমি’।
কিন্তু আজকাল বড়ো একঘেয়ে লাগে
ইচ্ছা করে এই ঐশ্বর্য, ক্ষমতা সব কিছু ছেড়ে অন্য কিছু কাজ করি
শুধু যদি বেঁচে থাকি, তারপর একদিন আর না বাঁচি?
বিশ্বাস করো ‘মিডলাইফ ক্রাইসিস’ নয়
শুধু নতুন কিছু করার ইচ্ছা
পারো না, তুমি অন্য কারো বুকে নতুন স্তন গড়ে দিতে ?
যখন শেষ হবে তোমার অনন্ত শয্যা
দেখা হবে তোমাতে আমাতে
জিজ্ঞাসা করবো তোমায়।