মেষপালকের গানে
এ ধরা শান্ত হয়
চরাচরে ভাসে
শিমূল তুলোর মতো সুখ
আপনার খড়ের নীড় হতে
বাবুইরা প্রত্যাশায় উন্মুখ
নব নব সংগীত সন্দর্ভে
তাহাদের সমবেত ধ্বনি
উঠে রণি, বাবলা গাছটির
শাখাপ্রশাখায়
অফুরন্ত, অপার আশায়
গর্বোদ্ধত প্রবল ভাষায়।
পিঁপড়ে, মাকড়শা, মর্মরডানার
বহুচক্ষু মাছি
তাহাদের অরিষ্ঠ কাজ করে যায়
জীবনের চলমান নূতন অধ্যায়
রচনার প্রয়াসেতে অবিরাম বাঁচে
আর মরে।
বহু, বহু দূরে, হিমদেশে
চিরতুষারের বিচ্ছিন্নপুরে
ক্ষুর্ধাত মেরুভাল্লুকি
আপনার সন্তানে শিখায়
পিচ্ছিল বরফে
ভারসাম্য রাখি
ক্রমাগত চূড়া আরোহন
সর্ব উপদ্রপ সহা আনন্দভবন
যার পারে আছে—
রক্ত, মাংস, খাদ্য যেথা
নূতন প্রাণের উৎস যাচে।
মাণবের আবর্জনা খাদ্য নহে
বিরাট ভল্লুকি তাহা বোঝে
তবু বাধ্য হয়
করে আত্বপ্রবঞ্চণা
সন্তানের লাগি–
হে এলবাট্রস,পাখা বিবাগী
তোমা পরে আজি আমি সঁপিলাম ভার—
এই মা, আর তার পুত্র কণ্যার
সংবাদ বিধিমত বলিবার
নির্বোধ, অসংবেদী মাণবের কানে
যেন তারা জানে, আর নত হয়ে মানে, দ্বীধাদীর্ণ এই ধরাধামে
প্রাণ হতে প্রাণে
অগ্নিজাল,অগ্নিজ্বালা
সকালে,সন্ধ্যায়
ক্রমাগত আনিতেছে
বিচিত্র, বিচ্ছিন্ন এ নীল গ্রহের
জঠরের পানে।