cropped-Logo-2.jpg

কাছে, তবু কত দূরে (তৃতীয় ভাগ)

সুনির্মল ও রঞ্জনার বিয়েটা মূলত ঠিক করেছিল দুই পরিবার। ফলে তারা বিবাহের আগে কখনোই সেভাবে সুযোগ পায়নি একে অপরকে জানার কিংবা একে অপরকে চেনার। কথায় বলে, বিবাহ কেবলমাত্র দুজন ব্যক্তির মিলন নয়, দুটো পরিবারের মিলন।

cropped-Logo-2.jpg

কাছে, তবু কত দূরে (দ্বিতীয় ভাগ)

দেখতে দেখতে কেটে গেল চার চারটে বছর। সুনির্মল ও রঞ্জনার একমাত্র কন্যা দীপশিখাও তার বাবা ও মার জীবনে জ্বালাতে পারল না আনন্দের আলো। স্কুলে ভর্তি থেকে শুরু করে মেয়ের জীবনের কোনো সিদ্ধান্তই না নিতে পারার দুঃখে সুনির্মল তখন কাতর।

cropped-Logo-2.jpg

কাছে, তবু কত দূরে (প্রথম ভাগ)

বাংলা মাধ্যম স্কুলে পড়ার দরুন মাতৃভাষায় লিখতে বরাবরই ভালোবাসি। তারপর দীর্ঘ ১০ বৎসর ‘সংবাদ প্রতিদিন’এর মতো প্রথম সারির সংবাদপত্রে লেখার কারণে লেখার অভ্যাসটা বজায়ই ছিল। পরবর্তীকালে ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াতেও কিছু আইন সংক্রান্ত অনুষ্ঠানের চিত্রনাট্য লেখার দরুন ভালবাসাটা বয়ে নিয়ে যেতে পেরেছিলাম।

cropped-Logo-2.jpg

একটা পুরোনো হিসেব

ফোনটা একনাগাড়ে বেজে চলেছে, অলোক এখনো বাড়ি ফেরেনি। প্রচন্ড অনিচ্ছা সত্ত্বেও ঈশিতাকে উঠতে হলো। কোনোরকমে ঘুমচোখে হাওয়াই চটিজোড়া পায়ে গলিয়ে শোবার ঘর থেকে বেরিয়ে হলঘরে এসে দাঁড়ালো।

ফোনটা বেজে চলেছে, ঈশিতা তুললো, ‘হ্যালো’ –

cropped-Logo-2.jpg

পাঁচালি

শুনো শুনো মর্তবাসী শুনো দিয়া মন
Virus তাড়াবার পথ করিব বর্ণন
গোমূত্র পান কারো শনি মঙ্গলবারে
করোনা র আক্রমণ হইবে না তার ঘরে
রোদে পুড়ে ঝাঁঝরা হও পাইবে নিস্তার
গরম পড়লে virus পোকা পাবেনা নিস্তার

cropped-Logo-2.jpg

গল্প একটাই

গার্গী সান্যাল দেখতে ছোটখাটো, ফর্সা। প্রথম দর্শনে মনে হতে পারে গৃহবধূ। নেহাত খুব জোরাজোরি করলে কেউ বলবে ইস্কুল টীচার। নানা হাইস্কুল কোত্থেকে হবে ওই চেহারায়। উনি তো ক্লাসই ম্যানেজ করতে পারবেন না। অতএব প্রাইমারী ইস্কুলের টিচার হলেও হতে পারেন।

cropped-Logo-2.jpg

জল্লাদের প্রেমিকা


বিচারাধীন বন্দি জীবনের শেষ দিনে আজ আমার ফাঁসীর রায় বেরোবার এই দিনে, দীর্ঘ এত বছর আমার সেলে’র কোনায় টবে পোঁতা গাছটায় প্রথম কলি এসেছে। কত যত্ন করেছি, ভালবেসেছি কিন্তু ফুল ফোটাতে পারিনি। আজ আমার মৃত্যুজ্ঞা হয়ে যাওয়ার পর কলি দেখে ঈশ্বর, পরম করুণাময়ের বিচারে মন ভরে গেল।

cropped-Logo-2.jpg

এক ফালি স্বপ্ন

ঘ্যাঁচ করে ব্রেক কষল প্রমিত। আরেকটু হলেই মেয়েটাকে পিষে দিত ওর গাড়িটা। সামনের ক্রসিং-এ গান বাজছে, ‘যদি তারে নাই চিনি গো –’
“আঃ, দেখে রাস্তা পার হবেন তো!” আচমকা কেউ যদি এভাবে গাড়ির সামনে চলে আসে, তাহলে কার না রাগ ধরে? ভাগ্যিস সিগন্যালটা পরে গেছিল! নাহলে শিওর হাজত বাস হয়ে যেত!